
Spoiler alert
শাশ্বত চ্যাটার্জীর সাথে অভিষেক বচ্চনের তুলনা না করতে চাইলেও তুলনাটা এসেই যায়, কারণ দুজনে একই চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আর এই তুলনায় শাশ্বত অভিষেককে অনেক পয়েন্টে হারিয়ে দিয়েছে। তবে অভিষেককে খারাপ লাগেনি, শুধু যারা ২০১২ সালের ‘কাহানী’ দেখেছেন – তাদের একটু মেনে নিতে অসুবিধা হবে।
পার্শ্ব চরিত্রে অনেক ভালো ভালো অভিনেতাদের নেওয়া হয়েছে, কিন্তু সবাইকে তাদের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ দেওয়া হয়নি। পুরব কোহলি তাঁর screentime টুকু ফাটিয়ে অভিনয় করেছেন, পরান বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরের মতই দারুণ, চিত্রাঙ্গদা সিং ঠিকঠাক, পবিত্র রাভার অংশটুকু ভালো, এছাড়া বাকিদের খুব একটা সুযোগ দেওয়া হয়নি।
Screenplay আরেকটু শক্তিশালী হতে পারতো। সুজয় ঘোষের মেয়ে দিয়া অন্নপূর্ণা ঘোষের প্রথম কাজ হিসেবে ঠিকঠাক। তবে বেশ কিছু জায়গায় আরও সচেতনতা অবলম্বন করতে হত। পুরো সিনেমাটা বানানো হয়েছে ‘কাহানী’ সিনেমার sequel হিসেবে। কারণ – (1) ২০০০ টাকার নোট দেখানো হয়েছে শুরুতেই – মানে ২০১৬ সালের পরের ঘটনা। (2) শেষে বর্তমান সময় দেখানো হয়েছে ২০২০ সাল।কিন্তু ‘বব বিশ্বাস’ গোরস্থানে দাঁড়িয়ে ‘ভিদ্যা বাগচী’র killing contact পেল। এর অর্থ দুটো হতে পারে – (1) screenplay তে বড় ধরণের continuity error আছে। (2) বর্তমানে ‘ভিদ্যা বাগচী’ অন্য কেস নিয়ে ব্যস্ত, এবং ‘বব বিশ্বাস’ দ্বিতীয় বারের মত তার killing contact পেল।
আমার গোটা সিনেমাটা মোটের উপর মোটামুটি লেগেছে।